Thursday, November 30, 2023

বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দী তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দী তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী

 



বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দী তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী


তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মূল নেতৃত্ব কার্যত তাদের দলের নেতাদের বিএনপি নামক ‘কারাগারে’র মধ্যে বন্দী করে রেখেছে। যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।

এমনটা বলার কারণ হিসেবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি করলে এখন কোনো নির্বাচন করা যায় না, সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করা যায় না। আর তাদের সিদ্ধান্ত হয়, সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে, যার সাথে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।’


আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘তবে বিএনপি নামক এই কারাগার থেকে অনেকেই বের হয়ে এসেছেন’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, তাঁরা অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাই স্বীকার করেন যে আসলে এই সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

বিএনপি অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ।

‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না’—এ–সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, টিআইবি যদি মনে করে একটি দল অংশগ্রহণ না করলে সেটি অংশগ্রহণমূলক নয়, তাহলে সেটি টিআইবির চিন্তার বা বোঝার দৈন্য।

টিআইবির প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবর থেকে দেশে সহিংসতা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে, এমনকি পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হলো, নার্সদের অপদস্ত করা হলো, অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানো হলো, জীবন্ত মানুষকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, এ নিয়ে টিআইবির কী বিবৃতি, কী বক্তব্য?’


সুত্রঃ প্রথম আলো

সরকার হটাতে গণ-আন্দোলনকে গণবিস্ফোরণে রূপ দেওয়া হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

সরকার হটাতে গণ-আন্দোলনকে গণবিস্ফোরণে রূপ দেওয়া হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

 



সরকার হটাতে গণ-আন্দোলনকে গণবিস্ফোরণে রূপ দেওয়া হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ


চলমান গণ–আন্দোলনকে গণবিস্ফোরণে রূপ দিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরোনোর ঘোষণা দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে আজ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজার সামনে থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি পল্টনের দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসে। মিছিল থেকে হরতালকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধ করা ও সরকারের পদত্যাগের দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিল–পরবর্তী সমাবেশ শুরু হয় ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের ভেতর দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিরোধী দলকে দমনের নামে জুলুম নির্যাতন, দমন–পীড়নের মধ্য দিয়ে নাগরিক জীবনকে যন্ত্রণাময় করে তুলেছে।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে পোশাকশিল্পে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে গণ–আন্দোনকে গণবিস্ফোরণে রূপ দিয়ে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, সরকার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে, তা নিজের দলের লোকদের মধ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিভিন্ন এলাকার ইজারা নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ইজারা নেওয়ার নির্বাচন প্রতিহত করতে হবে।

সমাবেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, এমন কোনো দিন নেই, যে দিন মিথ্যা মামলা দিয়ে শত শত রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। রাজনীতিকদের পাওয়া না গেলে তাঁদের স্ত্রী–সন্তানদের পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কেউ সত্য কথা বললে, সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচারের কথা বললেই তাঁদের ওপর নেমে আসছে জুলুম–নির্যাতন। এটা বন্ধ করতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জনগণ আজ সারা দেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালনের মধ্য দিয়ে এই সরকার ও তাদের নীল নকশার নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলোর ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এবার আর আগের দুই নির্বাচনের মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর  রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খানসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা।

রওশনকে ছাড়াই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি

রওশনকে ছাড়াই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি

 


রওশনকে ছাড়াই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি


শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম নেননি রওশন এরশাদ। ফলে ৩২ বছর পর রওশনকে ছাড়াই নির্বাচনে নামল জাতীয় পার্টি (জাপা)। একইভাবে রওশনের ছেলে সাদ এরশাদও এবার নির্বাচনে নেই।


জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তাঁকে নানাভাবে বোঝানো হয়েছে। মহাসচিব একাধিকবার ফোন করেছেন, এমনকি ফরম নিয়ে তাঁর বাসায়ও যেতে চেয়েছেন। তিনি মানা করে বলেছেন, লোক পাঠাবেন। এরপর আমরা তাঁর জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম। শুনেছি, তাঁকে কেউ ফরম নিতে দেয়নি।’


এই নির্বাচনে রওশন এরশাদের অনুসারী অনেক নেতাকে জাপার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে দলের সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান (রাঙ্গা), জিয়াউল হক মৃধা, গোলাম মসীহ, কাজী মামুনূর রশীদ ও ইকবাল হোসেন উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া নির্বাচনী আসন নিয়ে একমত হতে না পারায় রওশনের ছেলে সাদ এরশাদও মনোনয়ন পাননি। এ কারণে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন রওশন এরশাদ। তাঁর নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাপার উপজেলা সভাপতি আবু মো. মুছা সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিবুর রহমান।


এদিকে জাপার মনোনয়ন না পেয়ে মসিউর রহমান রংপুর-১ আসনে ও জিয়াউল হক মৃধা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মসিউর রহমানের আসনে জাপার প্রার্থী মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। তিনি এরশাদের ভাতিজা ও সাবেক সংসদ সদস্য। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম।


জাপার নেতারা উৎকণ্ঠায়

এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপার আসন সমঝোতা হয়নি। ফলে দলটির কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সব আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে। জি এম কাদের গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একটি ঢাকা-১৭, অন্যটি রংপুর-৩ আসন। ঢাকার আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, আর রংপুরে তুষার কান্তি মণ্ডল।


এ ছাড়া জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নাসিরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদের চট্টগ্রাম-৫ আসনে আবদুস সালাম, কাজী ফিরোজ রশীদের ঢাকা-৬ আসনে সাঈদ খোকন, সৈয়দ আবু হোসেনের ঢাকা-৪ আসনে সানজিদা খানম, সালমা ইসলামের ঢাকা-১ আসনে সালমান এফ রহমানকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। এতে জাপার নেতাদের অনেকে উৎকণ্ঠায় আছেন।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার উচ্চপর্যায়ের একজন নেতা গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে এবার কাকে দিয়ে কী করতে চাইছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।’


জাপায় ব্যতিক্রম ঘটনা

জাপার দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রওশন এরশাদ এবার ছেলে সাদের আসন নিয়ে আপত্তির জেরে নির্বাচনে না গেলেও সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সমঝোতার বিষয়ে চেষ্টা ছিল। তাঁকে সরকারের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্তও মনে করা হয়। রওশন এরশাদ ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছয়বারের সংসদ সদস্য। এর মধ্যে ২০০৮ সালে তিনি


ভোটে হেরে যাওয়ার পর উপনির্বাচনে এরশাদের ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আমৃত্যু এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে এরশাদের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে সাদ এরশাদ সংসদ সদস্য হন। এবারও সাদ প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এবার তিনি নিজেই এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন।


অবশ্য ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন এরশাদ বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও তখন রওশন এরশাদ দলের একটি অংশকে নিয়ে নির্বাচন করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি জাপার মনোনয়নে নেতৃত্ব দেন। নির্বাচনের পর দলের চেয়ারম্যান এরশাদকে বাইরে রেখে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হন। এবার তার ব্যতিক্রম ঘটল।


জাপার নেতারা বলছেন, রওশন এরশাদবিহীন এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপাতত দলে জি এম কাদেরের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করল। দীর্ঘদিন ধরে দলের নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয়ে জি এম কাদেরের সঙ্গে রওশনপন্থীদের দ্বন্দ্ব চলছিল, যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়, যা এখনো অমীমাংসিত।


দলটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন ঘটনাটি ঘটবে, কখনো ভাবিনি। রাজনীতিতে সবকিছু হতে পারে, বুঝলাম অবশেষে।’


সুত্রঃ প্রথম আলো


Tuesday, November 28, 2023

পোস্টার বয়' মিলন পেলেন না জাপার মনোনয়ন

পোস্টার বয়' মিলন পেলেন না জাপার মনোনয়ন

 

পোস্টার বয়' মিলন পেলেন না জাপার মনোনয়ন



ইতিমধ্যে পোস্টার বয় হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাইফুদ্দিন আলম মিলন। রাজধানীজুড়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার থেকে শুরু করে ঢাকার অলিতে গলিতে তাকালেই চোখে পড়ে তার পোস্টার। ফলে মানুষ তাকে ডাকেন পোস্টার বয় বলে। 


আলোচিত-সমালোচিত জাতীয় পার্টির এই নেতা এবার মনোনয়ন চেয়েও পাননি জাতীয় পার্টি থেকে।  জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে বিশেষ বিশেষ দিনে ছাপানো পোস্টারে দেখা যায় তার হাস্যোজ্জ্বল মুখ। ফলে জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতাদের ছাপিয়ে তিনি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন বিভিন্ন সময়। 

পোস্টার বয় মিলন এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও কখনো জয় লাভ করতে পারেননি। 

ঢাকা-৭ আসনে জাপার মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। এবার তার জায়গায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তারেক এ আদেলকে। 

এ বিষয়ে মিলন বলেন, জাপার মনোনীত প্রার্থী তালিকায় আমার নাম নেই দেখে বিস্মিত হয়েছি। আমি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।


সুত্রঃ প্রথম আলো


জাতীয় পার্টি

দাগনভূঞা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

দাগনভূঞা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

 

দাগনভূঞা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা



ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেনের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত সোয়া একটার দিকে দাগনভূঞা পৌর এলাকার আলাইয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আকবরের পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে ছিলেন না। আকবর হোসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ভাই। নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে।


গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন আকবর হোসেনের স্ত্রী ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহীন আক্তার।


স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে একদল সন্ত্রাসী বাড়িতে প্রবেশ করে তিন-চারটি ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে বাড়িতে বসতঘরের সামনে থাকা আকবর হোসেনের একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বাড়ির কর্মচারী থাকার ঘরে ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে ফেনী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।


দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, আকবর হোসেনের বাড়িতে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা তিনি শোনেননি। সাংবাদিকদের কাছ থেকেই তিনি এ ঘটনার কথা জানতে পারেন। তিনি বলেন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের দোষারোপ করা অতি সহজ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।


দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেননি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার তুলাতলী বাজার এলাকায় দলীয় একটি মশাল মিছিল শেষ করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।


সুত্রঃ প্রথম আলো

ইসলামী আন্দোলনের সংলাপ - সরকারের জুলুম–নির্যাতন বাম ও ডান সবাইকে এক কাতারে এনেছে

ইসলামী আন্দোলনের সংলাপ - সরকারের জুলুম–নির্যাতন বাম ও ডান সবাইকে এক কাতারে এনেছে

 

ইসলামী আন্দোলনের সংলাপ - সরকারের জুলুম–নির্যাতন বাম ও ডান সবাইকে এক কাতারে এনেছে




সরকার পতনের আন্দোলনে ঐক্যের আহ্বান নিয়ে এক টেবিলে বসেছে বিএনপি এবং দেশের ডানপন্থী ও বামধারার কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আহ্বানে অনুষ্ঠিত সংলাপে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন, সরকার পতন ও রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে নেতারা একমত হয়েছেন।


বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এর আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংলাপের শেষ দিকে বলা হয়, অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন সংলাপে।


সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশ, গণফোরামের একাংশ, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), নাগরিক ঐক্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, ভাসানী পরিষদ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ।


আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদ নির্বাচনের দিন সবাইকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সংলাপের শেষে এ আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো ইসলামি দল জালেম সরকারের সঙ্গে হাত মেলাবেন না। স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসীরা নীলনকশার নির্বাচনে যাবেন না।’ তিনি বলেন, সংলাপ শুরুর আগেও উপস্থিতি নিয়ে সংশয় ছিল। সবাইকে দেখে বুক ভরে গেল। সবার মতামত পাওয়া গেল। অচিরেই করণীয় উপস্থাপন করা হবে।


সংলাপের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তা পূরণের দায়িত্ব ইসলামী আন্দোলনকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম আজ বাম–ডান সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। মজলুমদের ঐক্য হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বস্ত নেতৃত্ব চায়, এ দায়িত্ব নিতে হবে।’


জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ইতিমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়ে গেছে। সবাই এখানে একত্র হয়েছে। তিন বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামী একসঙ্গে ডাক দিলে একাত্তরের মতো সবাই নেমে আসবে সরকারের বিপক্ষে।


প্রথমবারের মতো ইসলামি দলের সভায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ঘরে যখন আগুন লাগে, তখন শুধু ঘরের লোক নয়, পাড়া-প্রতিবেশী সবাইকে ডাকতে হয়। দেশে আগুন লেগেছে বলেই প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ইসলামি ধারার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সরকারকে বড় একটা ধাক্কা দেওয়া দরকার, যেখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভূমিকা রাখতে পারে।


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ভোটের মর্যাদা না রাখায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সবাই নেমেছিল। এ সরকারের বিরুদ্ধেও যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। এমনিতেই চড়া দামের জন্য বাজারে যাওয়া যায় না। অর্থনৈতিক অবরোধ এলে দেশের জনগণ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, দেশের জন্য, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, মানবাধিকারের জন্য দেশের বাম ও ডান এক টেবিলে বসাটাই একটি বড় বিষয়। সরকার উৎখাতে যা করা লাগবে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করতে হবে।


এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দুই কারণে ঐক্য হয়। একটি হলো লাভের জন্য, অন্যটি ভয় থেকে। মানুষকে তার অধিকার হারানোর বিষয়টি হয়তো বোঝানো যাচ্ছে না। এক সপ্তাহের খোরাকি হাতে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিরোধ করা যায়নি। ২০১৮ সালে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে। এ সরকারের সঙ্গে সংলাপ করে কিছু হবে না। দল–মত সবাই মিলে রাজপথের আন্দোলনে নামতে হবে। না হলে কিছুই হবে না।


সংলাপ সঞ্চালনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন এলডিপির মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, ভাসানী পরিষদের হাবিবুর রহমান, বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান মাদানী, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।


বক্তারা ঘরে বসে আলোচনার চেয়ে রাজপথের আন্দোলনকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, সরকারি দল নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দিচ্ছে। সাজানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তাই সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। রাজপথে শক্ত আন্দোলন করতে না পারলে ‘ফ্যাসিবাদের’ পতন হবে না।


এর আগে সংলাপের শুরুতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এতে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো, ‘বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত একতরফা’ তফসিল বাতিল করে গ্রেপ্তার বিরোধী–দলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা। দ্বিতীয়টি হলো, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর তৃতীয় প্রস্তাব, কার্যকরী সংসদ, রাজনৈতিক সংহতি এবং শতভাগ জনমতের প্রতিফলনের জন্য সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন।


লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, একতরফা নির্বাচন নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করার জন্য বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সরকার। বাংলাদেশের বিরোধী দল নির্বাচনের আগে চরম দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, শত শত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, গায়েবি মামলা ও বিরোধী দলের মৃত ব্যক্তির নামে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। জেলখানার ধারণ ক্ষমতার তিন গুণ আসামি কারাগারে বন্দী। এটি সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী, অমানবিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ।

ইসলামী আন্দোলনের অভিযোগ, সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, যা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।


সুত্রঃ প্রথম আলো